কাইজার (২০২২)
কাইজার ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে এর দুর্দান্ত স্ক্রিপ্ট এবং ডায়লগের কথা। স্ক্রিপ্ট এবং ডায়লগ রাইটার আয়মান আসিব স্বাধীন বাজিমাত করেছেন। চমৎকার টাইমিং এবং কমিক সেন্স। রাইটারের লেখাপড়া এবং জানাশোনা দুটোই বেশ ভালো, স্ক্রিপ্টে সেটার ছাপ রয়েছে।
স্টোরি অ্যাভারেজ। এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যা চলছে থ্রিলার, চোর-পুলিশ খেলা সেরকমই।
অভিনয়ে সেরা শতাব্দী ওয়াদুদ। এই প্রথম মনে হল হুমায়ূন ফরিদীর কাছাকাছি একজন ভিলেন পাওয়া গেল। ডায়লগ ডেলিভারি, বডি ল্যাঙ্গোয়েজে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
নিশো দারুণ অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনের নিশো আর ওয়েবের নিশোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। আসলেই দুনিয়াতে খারাপ কোন অভিনেতা নেই। ভালো গল্প, ডায়লগ, ডিরেকশন পেলে একজন অভিনেতা কি করে দেখাতে পারেন তার উজ্জ্বল উদাহরণ নিশো। তার ডায়লগ ডেলিভারি এবং টাইমিং অসাধারণ হয়েছে। কাইজার ক্যারেক্টারটা নিশো ছাড়া আর কেউ করতে পারতো না। সোজা কথা আর কাউকে মানাতোই না এই ক্যারেক্টারে।
এরপর ব্যারিস্টারের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ। নিজের উপর দুর্দান্ত কন্ট্রোল এই অভিনেতার। ক্যারেক্টারের মেজাজটা সমানতালে ধরে রেখেছেন। ১ ইঞ্চিও এদিক সেদিক হয়নি। হাঁটাচলা, লুক, ডায়লগ ডেলিভারি সব পার্ফেক্ট।
দ্বীপাণ্বিতা মার্টিনও গুড চয়েস। রাইটিংয়ের পরে সবচেয়ে ভালো হয়েছে এই সিরিজের কাস্টিং। দ্বীপাণ্বিতা যে মানের অভিনেত্রী তার তুলনায় প্রথমে তার ক্যারেক্টারটাকে বেশ দুর্বল লাগছিলো। তবে সময়ের ব্যবধানে তিনি তার খেল দেখিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
সবশেষ সৌম্য জ্যোতির অভিনয়ের প্রশংসা করতেই হয়। ডায়লগ ডেলিভারি, কমিক সেন্স এবং এক্সপ্রেশন..তিনটা কাজ একসাথে দারুণভাবে করেছেন।
বাকিদের সবার অভিনয়ই ভালো হয়েছে। আর্ট ডিরেকশন ভালো। তো শেষে যদি এক বাক্যে বলতে হয়, প্রথমে ডায়লগ, তারপরে কাস্টিং, তারপরে অভিনয়, এই তিন যাদুতে বাজিমাত করেছে কাইজার।