কালি (২০১৬)
কিছু কিছু ছবি থাকে যা শেষ না করে দর্শকরা উঠতে পারেন না, ‘কালি’ তেমনই এক ছবি।
দুই ঘন্টার এই ছবিকে ফুটবল খেলার মত দুই ভাগে ভাগ করে নিলে পরিচালকের মুন্সিয়ানা বুঝতে সুবিধা হবে। ফার্স্ট হাফে গল্পটা অল্প আঁচে অনেক্ষণ ধরে গরম করেছেন পরিচালক। ছবির মূল দুই চরিত্র সিদ্ধার্থ ও অঞ্জলির পরিচিতি, বাল্যকাল, প্রেম, বিয়ে ও সংসার। শুরু থেকেই গল্পের কেন্দ্রে থাকে সিদ্ধার্থ, বদমেজাজি এবং অল্পতেই মেজাজ চড়ে যাওয়ার বদভ্যাস তার ছোটবেলা থেকেই। ব্যাঙ্কের চাকরি করতে গিয়ে মিশতে হয় নানারকম মানুষের সঙ্গে। তাই একটু একটু করে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা, মেজাজটাকে সামলে রাখার চেষ্টা যা প্রায়ই সফল হয় না। সিদ্ধার্থের কলেজ জীবনের প্রেমিকা ও বর্তমান স্ত্রী অঞ্জলিও চায় সিদ্ধার্থ তার এই ভয়ানক ক্রোধ সংবরণ করা শিখুক। কারণ সমাজে থাকতে গেলে সবসময় সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হয়। সবকিছু নিজের পছন্দমত হবে না।
সেকেন্ড হাফে গিয়ে এই সাদাসিধে গল্পটাকেই গভীর সংকটের মধ্যে ফেলে দিলেন পরিচালক। উন্মক্ত ক্রোধ যে মানুষকে কীভাবে বিপদে ফেলে সেটাই দেখিয়েছেন তিনি। নিজের পরিবার, সম্পর্ক অনেক কিছুই এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। সিদ্ধার্থের বিবেচনাহীন রাগের কারণে বিপদে পড়ে সিদ্ধার্থ ও অঞ্জলি। এক রাতের গল্প কিন্তু সেখানেই ঘটে যেতে পারতো বিপদ। দারুন এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজেশ গোপিনাধান। ছবিটির মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুলকার সালমান এবং সাই পল্লবী। সেই সাথে বাকিরাও সমানতালে অভিনয় করেছেন বিশেষ করে ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে চেম্বান ভিনোদ জোসের অভিনয় ভয় পাইয়ে দেয়ার মত।