সোমোস (২০২১)
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস সীমান্তবর্তী মেক্সিকোর ছোট শহর আলেন্দে। র্যাঞ্চিং আর ছোটখাট কাজ বা ব্যবসা করে দিনাতিপাত করেন এই শহরের মানুষ। নিরিবিলি, ছোট্ট শহর। তবে শহরের নীরবতার মাঝেও সবসময় এক চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে। কারণ এই শহরটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ড্রাগ কার্টেলের সদস্যরা। তারাই ঠিক করে শহরের কোথায় কি হবে। এদের ভয়ে দিশেহারা থাকে সাধারণ মানুষ। পুলিশ, জেলখানা সব তাদের কথায় চলে। চাইলে নিরপরাধ মানুষকে, এমনকি পুলিশকেও জেলে বন্দী করে রাখতে পারে তারা।
সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই শহর ড্রাগ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টেক্সাসে এক মাদক চোরাচালানি আটক হওয়ার সূত্রে আলেন্দের ড্রাগ কার্টেলের সন্ধান পায় ডিইএ বা ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ডিইএ-এর অভিযান শুরু হলে বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে তথ্য ফাঁস করে দুই ড্রাগ ডিলার। আর এই খবর চলে যায় মাফিয়াদের কাছেও। আর তারপরই শান্ত সেই শহরে নরক নেমে আসে।
নির্বিচারে মানুষ খুন করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করে মাফিয়ারা। তাদেরকে থামানোর যেন কেউ নেই। শতাধিক মানুষ মারা পড়ে তাদের হাতে। লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় যাতে হত্যাকাণ্ডের কোন চিহ্ন না থাকে।
২০১১ সালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে মিনি ওয়েব সিরিজ ‘সোমোস’। ৬ পর্বের এই সিরিজটি গত ৩০ জুন মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে।
ছবির কাহিনী এগোয় বেশ ধীরে। এর মাধ্যমে হয়তো শহরের নিস্তরঙ্গতাকেই তুলে ধরা হয়েছে। মাফিয়াদের তাণ্ডব চলার অনেকদিন পরেও ঘটনাটি চাপা ছিল, কারণ ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। তবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এর বিস্তারিত বেরিয়ে আসে।
পুলিৎজার পুরষ্কার জয়ী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জিঞ্জার থম্পসনের লেখা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে সিরিজটির চিত্রনাট্য।