আর্টহাউজ থেকে কমার্শিয়াল সব ছবিতে মানানসই যে অভিনেতা
ভারতীয় এই অভিনেতাকে চেহারায় সবাই চেনেন। কিন্তু তার নাম জানতে চাইলেন কতজন বলতে পারবেন?
অভিনয় করছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। প্রথমে টেলিভিশন সিরিয়াল। তারপর সিনেমায়।
ওটিটি-তেও তিনি নিয়মিত। বেশিরভাগ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও তার অভিনীত বেশ কয়েকটি চরিত্র দর্শকদের খুব ভালোভাবে মনে থাকার কথা।
তার অভিনীত কয়েকটা উল্লেখযোগ্য ছবি হলো পেয়ার কা সাইড অ্যাফেক্টস (২০০৬), আ ওয়েডনেসডে (২০০৮), পিপলি লাইভ (২০১০), হায়দার (২০১০), গুরগাও (২০১৭), লাল কাপ্তান (২০১৯)।
জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ সেকরেড গেমস-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তবে ইনসাইড এইজ সিরিজের সিজন টু-তে ‘ভাইসাব’ চরিত্রটি তাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয় দর্শকদের কাছে।
২০২৩ সালটা এই অভিনেতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম চরিত্রে তিনি এ বছর দর্শকদের সামনে এসেছেন।
একটি ‘স্কুল অব লাইস’ সিরিজের জন্য। এই সিরিজে তিনি বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ভাইসাব চরিত্রের একদম বিপরীত বলা যায় স্যামুয়েল চরিত্রটিকে। দুটোতেই তিনি সমান পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।
স্কুল অব লাইস সিরিজটি আমার তেমন একটা ভালো না লাগলেও স্যামুয়েল চরিত্রটি দারুণ লেগেছে। এবং সেটা এই অভিনেতার অভিনয়ের জন্য। তখন পর্যন্ত আমি তার নাম জানতাম না।
তিনি যেসব চরিত্রে বা যেসব পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন তার থেকে একদমই ভিন্ন, বলা যায় বিপরীত ঘরানার ছবিতেও তিনি সমানভাবে উজ্জ্বল।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া করণ জোহরের ‘রকি আর রানী কি প্রেম কাহানি’ ছবির তিজোরি রানধাওয়া চরিত্রের কথা।
একজন ঝানু অভিনেতার মতই তিনি সব চরিত্রকে চমৎকারভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
এবার আসা যাক তার আরেকটি পরিচয়ে।
২০১০ সালে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেতা। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘হারুদ’। ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছিল টরেন্টোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। এছাড়া ভারতেও ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে। সেরা উর্দু ভাষার ছবি হিসেবে ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে ছবিটি।
এখনও যারা এই অভিনেতা এবং পরিচালকের নাম মনে করতে পারেননি তাদের আর কষ্ট করে গুগলে সার্চ দিতে হবে না! এই অভিনেতার নাম আমির বশির।