সাবা (২০২৪)
ডিরেক্টরের প্রথম ছবি হিসেবে চমৎকার। গোছানো প্রোডাকশন।
অভিনেত্রী মেহজাবিনেরও প্রথম ছবি। যদিও আগে রিলিজ পেয়েছে প্রিয় মালতী। সাবা আর মালতী প্রায় কাছাকাছি দুটো ক্যারেক্টার। দুজনেই পার্সোনাল স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে যায়।
মোস্তফা মনওয়ার এর অঙ্কুর চরিত্রটার সাথে তার করা ২০১৬ সালের লাইভ ফ্রম ঢাকার সাজ্জাদ চরিত্রটির মিল আছে। দুজনেই ঢাকা ছাড়তে চায়, ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে যেতে চায়, ভিসার জন্য টাকা দিয়েছে।
রোকেয়া প্রাচী একদম মেপে অভিনয় করেছেন। প্রাণ রায় অল্প সময়ের জন্য আসলেও চমৎকার করেছেন। সুমন পাটওয়ারী মানানসই।
বরকত হোসেন পলাশের সিনেমাটোগ্রাফি বরাবরের মতই মুগ্ধ করেছে। এই ছবির মুড সেট করেছে এর সিনেমাটোগ্রাফি। রাতের দৃশ্য, ইনডোরে স্বল্প পরিসরের মধ্যেও চমৎকার স্পেস তৈরি করেছেন তিনি।
স্ক্রিপ্টে কিছু খামতি আছে। গল্পটা আরেকটু সময় নিয়ে বলা যেত। সাবা আর অংকুরের বন্ধুত্ব প্রেডিক্টরবল ছিল তবু মনে হলো হঠাৎ করেই হয়ে গেল। আরেকটু সময় দেয়া যেত। গল্পে কিছু এলিমেন্ট যোগ করা যেত, আরো কাজ করার সুযোগ ছিল।
সব মিলিয়ে সাবা, বাংলা সিনেমায় যে সুবাতাস বইছে সেটাতেই নতুন মাত্রা যোগ করলো।

