কালপুরুষ (২০২৪)

মার্ডার মিস্ট্রি, সাথে টাইম ট্রাভেল। বাংলাদেশের ওটিটিতে এ ধরনের কাজ এটাই প্রথম।

ভিন্ন ধরনের কাজ এবং সিরিজটি উপভোগ্য হয়েছে এর চমৎকার চিত্রনাট্য, আর্ট ডিরেকশন, সিনেমাটোগ্রাফি এবং অভিনয়ের কারণে। 

টেকনিক্যাল দিক থেকে বলতে গেলে প্রথমেই আর্ট ডিরেকশনের কথা বলতে হবে। বেশ কয়েকটা ইন্টারেস্টিং সেট ফেলা হয়েছে সিরিজটিতে।বিশেষ করে শেহজাদ চৌধুরীর বাসা এবং ল্যাব। এই সেটটা খুবই দারুণ হয়েছে। 

গল্পে টাইম ট্রাভেলের যে বিষয়টা রয়েছে সেটার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে সেটটি। আকাশনগর থানা, মিরাজের বাসা এই দুটি সেটও বেশ সুন্দর হয়েছে। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহান নূরুন নবী। এই সিরিজের অন্যতম সেরা ডিপার্টমেন্ট আর্ট। 

সিনেমাটোগ্রাফি, কালার গ্রেড দুটোই চোখে আরাম দিয়েছে। সেজন্য সিনেমাটোগ্রাফার বরকত হোসাইন পলাশ এবং কালার গ্রেডিংয়ের জন্য সৈয়দ মেহবুব হোসেন, নওশীন সারোয়ার এবং সালেহ সোবহান অনীমের প্রশংসা করতেই হয়।

স্ক্রিপ্ট এর জন্য সালজার রহমান আলাদাভাবে বাহবা পাবেন। এরকম গল্প ভাবার জন্য এবং স্ক্রিপ্টে সেটা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ডায়লগে যে হিউমার ছিল সেটা উপভোগ্য ছিল। 

অভিনয়ে এসআই শফিক চরিত্রে রেজওয়ান পারভেজ সাবলীল ছিলেন। তার অভিনয় আলাদাভাবে নজরে পড়েছে। সেই সাথে মিরাজ চরিত্রে নাঈম নিজেকে অসাধারণ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। 

মিরাজের সংসারের গল্পটা ছোট হলেও সুন্দর। সেখানে মিরাজ-নোভার রসায়ন মনে থাকবে অনেকদিন। অল্প সময় হলেও নোভা চরিত্রে তানজিকার অভিনয় মনে রাখার মত। 

চঞ্চল চৌধুরী তার চরিত্রে যথারীতি যাদুকরী কাজ করেছেন। 

সালজার রহমান এবং ফিল্ম সিন্ডিকেটকে অভিনন্দন এরকম ভিন্ন রকম একটা কাজ করার জন্য। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *