ফারজি: ভালো মন্দ মিলিয়ে

গল্পটা ভালো। গল্পের মূল বিষয় জাল নোট সিন্ডিকেট। এরকম গল্প নিয়ে বলিউডে এত বড় পরিসরে কাজ হয়নি। মূলত গল্পের জন্যই সিরিজটা মানুষের চোখে পড়েছে।

কিন্তু গল্পটা জমজমাট হয়নি। আট এপিসোডের মধ্যে ছয় এপিসোডই চলে গেছে কাহিনী এস্টাবলিশ করতে। তারপর শুরু হয়েছে আসল খেলা।

কাস্টিং ভালো। তবে শহিদ কাপুর, বিজয় সেথুপাতি আর কে কে মেননকে কতটুকু স্ক্রিন প্রেজেন্স দিতে হবে সেটা নিয়ে পরিচালকদ্বয় কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন মনে হয়েছে।

কে কে মেননকে আরেকটু স্পেস দেয়া যেত। তার ব্যাকগ্রাউন্ড বা উত্থানপর্ব দেখালে ভালো হতো। সেটা পরের সিজনেও থাকতে পারে।

অনেক বেশি সময় চলে গেছে ক্রান্তি পত্রিকার পেছনে।  এই সময়টা অযথাই নষ্ট হয়েছে। প্রথম তিনটা এপিসোড দেখার পর অনেকেরই আগ্রহ চলে যাবে। কারণ তিন ঘণ্টা যাওয়ার পরও কাহিনী ততটা জমজমাট হয়নি তখনো। এ ধরনের গল্পে বা সিরিজে মানুষ সারাক্ষণ কিছু না কিছু ঘটছে সেটা দেখতে চায়।

অভিনয়ের দিক থেকে সবাই সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একজন অভিনেতার ক্যারিয়ারে সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে, তিনি হলেন ভুবন অরোরা।

শহিদ কাপুরের বন্ধু ফিরোজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি এবং শহিদের সমান স্ক্রিন প্রেজেন্স ছিল তার। অন্য কোথাও এত বেশি স্ক্রিন প্রেজেন্স তিনি কখনো পাননি। সুযোগটাকে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। সানি-ফিরোজ জুটি হিট!

বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়েছে। বোঝানো হয়েছে এসব দেশ ভারতীয় অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। এ ধরণের প্রবণতা এখনকার হিন্দি ছবিগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়।

গল্পটা আরও জমজমাট হতে পারতো। সানিকে আর্টিস্ট হিসেবে এস্টাবলিশ করতে গিয়ে নোটের ডিজাইন নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জালনোট ছড়িয়ে দেওয়াটাও চ্যালেঞ্জিং। সেগুলো আরও দেখানো যেত। বিশেষ করে একদম রুট লেভেলে জালনোট কীভাবে ছড়ানো হয় সেটা দেখানো যেত। এর ফলে সাধারণ মানুষ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটা দেখানো যেত।

কাজ করার জায়গা আরও ছিল গল্পে। কিন্তু পরিচালকরা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই আটকে ফেলেছেন বিষয়টাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *