৭ নম্বর ফ্লোর: প্রচুর ধৈর্য এবং অলস সময় থাকলে দেখতে পারেন
হতাশাজনক প্রোডাকশন। এ ধরণের ছবি দেখার জন্য দরকার প্রচুর ধৈর্য্য অথবা প্রচুর অলস সময়। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টার অযথাই লাউড অ্যাক্টিং করেছে। গল্পেরও তেমন জোর নেই। এমন কোন কিছু পেলাম না যেটা দর্শককে ধরে রাখবে।
অযথাই বিচ্ছিরি রকমের গালাগালি করা হয়েছে। ফিল্ম প্রফেশনালদের পেশা নিয়ে রীতিমত ঠাট্টা করা হয়েছে। তাদের পেশাকে প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করা হয়েছে। বোঝানো হয়েছে এটি খুব একটা ভালো জায়গা নয়। যা যথেষ্ট অপমানজনক।
পুলিশ অফিসারের চরিত্রে শাহরিয়ার নাজিম জয় কি কমেডি করতে চেয়েছেন নাকি চৌকষ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে চেয়েছেন সেটা একদমই বোঝা যায়নি। অভিনয়ের জায়গায় ভাঁড়ামি হয়ে গেছে।
প্রযোজক রমিজউদ্দিনের চরিত্রে সুমন আনোয়ারকেও অযথা উত্তেজিত মনে হয়েছে। হঠ্যাৎ করে তিনি লুঙ্গি তুলে কেন নায়কের কোলে উঠে গেলেন সেটা বোধগম্য নয়। কপাল ভালো যে সুমন আনোয়ারকে দিয়ে ‘লুঙ্গি তুলে উঠবো কোলে’ টাইপ আইটেম সং বানাননি পরিচালক।
ডিরেক্টরের কস্টিউম নিয়েও আছে আপত্তি। পকেটওয়ালা জ্যাকেট পরে যে ডিরেক্টর বোঝানো হয়েছে সেই পকেটওয়াল জ্যাকেট এখন আদৌ কোন ডিরেক্টর কি পরেন? যখন ফিল্মে ছবি তোলা হইতো তখন এরকম পকেটওয়ালা জ্যাকেট ফটোগ্রাফার বা ডিরেক্টররা পরতেন ফিল্মের রিল রাখার জন্য। এখন আর সেই চল নেই।
নানারকম ভূল ভ্রান্তি আর এলোমেলো কাহিনীতে বিপর্যস্ত এক প্রোডাকশন।