ঊনলৌকিক (২০২১)

অবিশ্বাস্য! অদ্ভূত! অসাধারণ!

পাঁচটা ছোট গল্পের শর্ট ফিল্ম। পাঁচটা গল্পের একটা জায়গায় মিল, সবগুলোই অদ্ভূত মনস্তাত্তিক গল্প। শুনলে বিশ্বাস হবে না, দেখলেও বিশ্বাস হবে না। আবার গল্পগুলো আপনাকে এতটাই প্রভাবিত করবে যে মনে হবে, না এরকম তো ঘটতেই পারে, ঘটেও। আমার সাথেও ঘটেছে বা এখন ঘটছে বা ঘটবে সামনে। মানে আপনিও অদ্ভূত জটিল ঘটনার মধ্যে ঢুকে যাবেন।

প্রথম থেকে শেষ প্রত্যেকটা গল্পই দারুণ। তারপরও রেটিং করতে গেলে ১ নম্বরে থাকবে ‘দ্বিখণ্ডিত’ পর্বটি। ইন্তেখাব দিনার যে কী অভিনয় করেছেন সেটা তিনি হয়তো নিজেও জানেন না। এই পর্বের ক্যামেরার কাজ এবং মিউজিক অসাধারণ। গল্পটাও খুব জটিল! সিনেমাটোগ্রাফার সুমন সরকার এবং সঙ্গীতের কাজ করেছেন রাশিদ শরীফ শোয়েব।

এরপর আসবে ‘মিসেস প্রহেলিকা’র কথা। তিশা যে এ ধরণের সিরিয়াস ক্যারেক্টারও এত সাবলীলভাবে করতে পারেন আগে কখনো মনে হয়নি। চঞ্চল চৌধুরী তো ভালো করবেনই। তাই আলাদা করে বলার কিছু নেই সে ব্যাপারে। এই পর্বের সেট ডিজাইন, লাইট এবং সিনেমাটোগ্রাফি চমৎকার। সিনেমাটোগ্রাফার কামরুল হাসান খসরু। আর্ট ডিরেক্টর নাঈমা জামান।

৩ নম্বরে থাকবে ‘মরিবার হলো তার স্বাদ’ পর্বটি। এই পর্বের মূল আকর্ষণ সেট ডিজাইন, ক্যামেরার কাজ আর অভিনয়। সিনেমাটোগ্রাফার তানভীর আহেমদ শোভন, আর্ট ডিরেক্টর নাঈমা জামান। মোস্তফা মনোয়ার, গাজী রাকায়েত, সুমন আনোয়ার সবাই খুব মাপা অভিনয় করেছেন। এই গল্পটা চমৎকার।

এই তিনটি পর্বের তুলনায় বাকি দুটি অর্থ্যাৎ ‘হ্যালো লেডিজ’ এবং ‘ডোন্ট রাইট মি’ কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে। তাই এই দুটি গল্প নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই।

প্রথমত গল্পকার শিবব্রত বর্মনের ধন্যবাদ প্রাপ্য এ ধরণের গল্প ভাবা এবং লেখবার জন্য।

এরপর পরিচালক রবিউল আলম রবিকে ধন্যবাদ যে তিনি গল্পগুলোর যথাযথ বিনির্মাণ করতে পেরেছেন। নির্মাতা হিসেবে তার পরিমিতি বোধের প্রশংসা করতেই হয়। প্রতিটি পর্ব গড়ে ১৮ থেকে ২০ মিনিটের। কোন বাড়তি কিছু যোগ করা হয়নি যা গল্পকে নষ্ট করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *