ঋত্বিক ঘটকের যে পাঁচটি ছবি অবশ্যই দেখবেন
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি, নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণ দিবস। বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের জন্য ঋত্বিক দর্শন এবং ঋত্বিক পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫১ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি।
ঋত্বিক ঘটকের অনেক কাজের ভেতর থেকে পাঁচটি ছবি এখানে বেছে নেয়া হয়েছে। যে ছবিগুলো নির্মাতা এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবে ঋত্বিকের জাত চিনতে সাহায্য করবে।
অযান্ত্রিক (১৯৫৮)
‘অযান্ত্রিক’౼কে বলা হয়ে থাকে ভারতের প্রথম সায়েন্স ফিকশন ছবি। এটাই ছিল বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাওয়া ঋত্বিক ঘটকের প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৫৯ সালে ভ্যানিস চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছিলো।
মধুমতি (১৯৫৮)
ঋত্বিক এই ছবির নির্মাতা নন, চিত্রনাট্যকার। হিন্দি এই ছবিটি নির্মাণ করেন বিমল রায়। এই ছবির কাহিনীর জন্য ফিল্মফেয়ার এ সেরা কাহিনীকার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক।
মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০)
যে ছবিটির নাম প্রায় সবার জানা সেটি ‘মেঘে ঢাকা তারা’। দেশভাগ নিয়ে ঋত্বিক ঘটকের ট্রিলোজির প্রথম ছবি এটি। শক্তিপদ রাজগুরু এর উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেন ঋত্বিক। দেশভাগের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবিটি শুধু বাংলা নয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের এক সম্পদ। কোমল গান্ধার (১৯৬১)
কোমলগান্ধার (১৯৬১)
ঋত্বিক ঘটকের দেশভাগ ট্রিলোজির দ্বিতীয় ছবি এটি। দেশভাগের জন্য ঋত্বিককে নিজের জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তাই তার অধিকাংশ কাজে দেশভাগের প্রসঙ্গ এসেছে জোরালোভাবে।
সুবর্ণরেখা (১৯৬৫)
দেশভাগ ট্রিলোজির শেষ ছবি। পশ্চিমবঙ্গে থাকা তিনজন বাঙালি শরণার্থীর কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ১৯৬২ সালে নির্মিত হলেও ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৫ সালে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে