দিল্লি ক্রাইম (২০১৯)
২০১২ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ঘটে ভয়ঙ্কর এক ঘটনা। চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুনী। তার উপর চালানো হয় পাশবিক অত্যাচার। দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান সেই তরুনী। সেই ঘটনা শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই আলোড়ন তৈরি করে। তরুনীর উপর অত্যাচারের বর্ণনা শুনে যে কোন সুস্থ মানুষই শিউরে উঠবেন। এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে নেটফ্লিক্স তৈরি করেছে সাত পর্বের সিরিয়াল ‘দিল্লি ক্রাইম’। মূলত ঘটনার শুরু থেকে ছয় আসামী গ্রেপ্তার হওয়া পর্যন্ত পুলিশের টানা ছয় দিনের অভিযানের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে সিরিজটিতে।
মোট ৪১ জনের পুলিশের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি সাউথের তৎকালীন ডিসিপি ছায়া শর্মা। ছবিতে ছায়া শর্মার চরিত্র অবলম্বনে ভার্তিকা চতুর্বেদীর চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছে আর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শেফালি শাহ। খুব নিখুঁতভাবে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। একইসাথে কোমলে-কঠোরে মেশানো এক চরিত্র। শুধু শেফালি শাহ নয়, প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রীই দারুন অভিনয় করেছেন। একটি কেস সলভ করতে পুলিশের কত খাটনি থাকে সেটা কিছুটা হলেও বোঝা যাবে এই সিরিয়ালে। সেই সাথে আমলাতন্ত্র, রাজনীতিক এবং পুলিশের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তো আছেই।
ছবিটির চিত্রনাট্য তৈরি করার আগে এর চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক রিচি মেহতা প্রায় ছয় বছর গবেষণা করেছেন। কথা বলেছেন এই কেসের সাথে জড়িত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে। দীর্ঘ সময় কথা বলেছে তৎকালীন দিল্লি পুলিশ কমিশনার এবং ডিসিপি এর সাথে। তদন্ত এবং অভিযানের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলেছেন। মোট ৬২ দিন শুটিং করা হয় সিরিজটি শেষ করতে। রিচি মেহতা প্রথমে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এত দীর্ঘ কাহিনী অল্প সময়ের মধ্যে তুলে ধরা সম্ভব নয় বলে সিরিজ করার সিদ্ধান্ত নেন।