মাহেশিন্তে প্রাথিকারাম (২০১৬)
ছিমছাম মফস্বল বা গ্রামের পরিচিত গল্প। এরকম অনেক ঘটনাই থাকে যা গ্রামে বা শহরে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় রাষ্ট্র হয়ে যায়। সেই এলাকার সব মানুষই গল্পটা জানে এবং এটা নিয়ে গল্প করতে ভালোবাসে। বলা যায়, ওই এলাকার ঐতিহ্যের অংশ হয়ে যায় গল্পটা।
মাহেশিন্দে প্রাথিকারাম মানে মহেশের প্রতিশোধ। ছবিটি তৈরি হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। মহেশ আমাদের চেনা চরিত্র, আমাদেরই কোন না কোন প্রতিবেশি। বাবার পর পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেছে। বাবা আর মহেশ দুজনের ছোট্ট সংসার। মহেশের জীবনে আছে অনুশ্রী। যদিও একসময় গিয়ে অনুশ্রী অন্য কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়।
মহেশের বাবার ফটো স্টুডিও রয়েছে এলাকার বাজারে। ‘ভাবনা স্টুডিও’ নামের সেই স্টুডিওটাই মহেশ দেখাশোনা করে, সে নিজে ফটোগ্রাফার। সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তোলা বা স্টুডিওতে পাসপোর্ট সাইজ ফটো তুলে দিন কেটে যায় তার।
এরই মধ্যে একদিন স্টুডিওর সামনেই এক উটকো ঝামেলায় পড়ে যায় সে। অন্য এলাকার এক ছেলের হাতে বেদম মার খায় সবার সামনে। এই অপমান সে কিছুতেই ভুলতে পারে না। সে প্রতিজ্ঞা করে যতদিন পর্যন্ত না পাল্টা মার দিচ্ছে ততদিন সে খালি পায়ে থাকবে, স্যান্ডেল পরবে না। একজন, দুজন করে পুরো এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, সবাই অপেক্ষায় কবে মহেশ প্রতিশোধ নেবে এবং আবার স্যান্ডেল পরবে।
মহেশের জীবনের এরকম নানা ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় ছবির গল্প। আমাদের চারপাশেই কত চেনা গল্প আছে যা নিয়ে ছবি হতে পারে-ঠিক এই কথাটাই মনে হবে ছবিটা দেখার পর। এই ছবির মূল সম্পদ এর সারল্য। এত সরল সোজাভাবে সিনেমায় গল্প বলা যায়, এই ছবিটা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।