রেডরাম (২০২২)
প্রথমত, মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে আমাদের দেশে কাজের সংখ্যা অনেক কম। যেগুলো আছে বেশিরভাগই পাতে তোলার মত নয়। সেই বাস্তবতায় রেডরাম বেশ ভালো কাজ। বিভিন্ন কালেক্টেড মিউজিক নিয়ে সাজানো ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ভালো লেগেছে। গল্পের মেজাজের সাথে বেশ মানিয়ে গেছে মিউজিক।
অভিনয়ে নিশো সবচেয়ে ভালো করেছেন। গোয়েন্দা চরিত্রে অন্যদের তুলনায় নিশো বেশ ভালো করেছেন। বেশ কম্পোজড এবং কন্ট্রোলড ছিলেন। সাম্প্রতিক কালের কথা বলতে গেলে, মাসুদ মুন্সীর চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর তুলনায় রেডরামে গোয়েন্দা হিসেবে নিশোর অভিনয় ভালো হয়েছে।
বিশেষ করে নিশোর ডায়লগের কথা বলতে হয়। তার ইন্টারোগেশন স্টাইল ভালো লেগেছে। গোছানো, ভেবেচিন্তে লেখা ডায়লগ। চিত্রনাট্যও গোছানো। বিশেষ করে ফ্ল্যাশব্যাক এবং প্রেজেন্ট টাইমলাইনের ব্লেন্ডিংটা ভালো ছিল, কোথায় ধাক্কা লাগেনি।
তবে অনেক রহস্য তৈরির পর রহস্যভেদ হয়েছে হঠাৎ করে এবং দ্রুত। এখানে আরেকটু সময় নেয়া যেত। চিত্রনাট্য এবং ডায়লগ লেখা দেখে বোঝা গেছে ডিরেক্টর ভিকি জাহেদের প্রচুর মিস্ট্রি/থ্রিলার দেখা এবং পড়া রয়েছে। সেটার ছাপ রয়েছে পুরো সিনেমাতেই। তবে ছবি দেখে মনে হয়েছে রেডরাম এর বদলে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ নামটাও ভালো হতো, বেশি প্রাসঙ্গিক হতো।
মেহজাবিনের অভিনয়ও ভালো হয়েছে। তবে মনোজ খুব একটা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারেননি। আজিজুল হাকিমের অভিনয় খুব মাপা ছিল। পাকা অভিনেতার এই গুণ। কমও দেন না, বেশিও না, একদম যতটুক দরকার ততটুকুই দেন। সিনেমাটোগ্রাফি ভালো হয়েছে।