লাইভ ফ্রম ঢাকা (২০১৯)
‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দেখে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি নির্মিত ‘ঘুড্ডি’র কথা মনে পড়লো। চিন্তা-ভাবনা এবং নির্মানে স্মার্ট এবং সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা ছবি।
ছবিটি সত্যিকার অর্থে ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম। কম বাজেটে বানানো, ছবিটি বানাতে প্রোডাকশন টিম থেকে শুরু করে অভিনেতারাও অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন।
ছবিটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক মোস্তফা মনোয়ারের অভিনয়। তারপর সিনেমাটোগ্রাফি এবং সব মিলিয়ে চিত্রনাট্য ও পরিচালনা। ছবির প্রোডাকশন ডিজাইন খুব গোছানো এবং মাপা বলেই কম বাজেটে ছবিটি বানানো গিয়েছে।
ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এর আগে দেশ টিভির জন্য ‘একটি অপ্রকাশিত কবিতা’ নামের একটি নাটক বানিয়েছিলেন। এটাই তার নির্মিত একমাত্র টিভি নাটক। তবে তিনি বেশ কয়েকটি নাটকের চিত্রনাট্য লিখেছেন। ‘আগস্টে লেখা গল্পসমগ্র’, ‘লিটল অ্যানজেল আই এম ডায়িং’ ইত্যাদি। তবে তিনি এখন পুরোদস্তুর বিজ্ঞাপন নির্মাতা। সাদের লেখা সব নাটকই পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। ওয়াহিদ তারেক নির্মিত প্রথম ছবিটি ‘আলগা নোঙ্গর’ আসি আসি করছে, এটিএ একটি ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম।
সাদের নির্মানশৈলীতে তারকোভস্কি, ইনারিত্তু এদের প্রভাব রয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তামিজুল সুন্দর কাজ করেছেন। প্রোডিউসার হিসেবে শামসুর রহমান আলভি এবং এহসানুল হক বাবু দুজনেই মারাত্মক সফল। সুন্দরভাবে কম বাজেটে ছবিটা তারা শেষ করতে পেরেছেন।
ছবিটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে বলে মিডিয়ায় আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এ ধরণের ছবি আলোচনায় আসে না। ২০১৬ সালে নির্মিত হলেও তিন বছর পর মাত্র ঢাকার একটি হলে ছবিটি মুক্তি দেয়া গেল এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই সপ্তাহখানেকও হয়তো ছবিটা হলে থাকতে পারবে না। যেমন ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটি থাকেনি।