লিভিং: এক নি:সঙ্গ শেরপার গল্প

মিস্টার উইলিয়ামস লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের দাপুটে আমলা। জটিল জটিল সব সরকারি ফাইল এসে জমা হয় তার দফতরে। তিনি সেগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত দেন কোনটি জরুরি আর কোনটি জরুরি নয়।

অফিসে যতটাই দাপুটে তিনি ঘরে ততটাই নি:সঙ্গ, কোনঠাসা। একমাত্র ছেলে মাইকেল আর তার স্ত্রী ফিওনা ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে। ডাক্তার দেখাতে তাই একাই যেতে হয় মিস্টার উইলিয়ামসকে।

নিয়ম মেনে চলায় অভ্যস্ত মিস্টার উইলিয়ামস। এক সময় জানতে পারেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বেশিদিন বাঁচবেন না। জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার জোর তাগিদ অনুভব করেন তিনি।

অনেকদিন ধরে তার দফতরে ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন মিসেস স্মিথ এর নেতৃত্বে নারীদের একটি দল। পরিত্যক্ত একটি এলাকাকে শিশু পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা। এতদিন কাউন্টি কাউন্সিলের নানা টেবিল ঘুরে তারা বুঝেছিলেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ভেদ করে এ কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না।

জীবনের শেষ মুহূর্তে মিস্টার উইলিয়ামস কারও জন্য কিছু করে যেতে চান আর সেজন্য তিনি নিজ দায়িত্বে সব দফতরে গিয়ে পার্কর্টি খোলার ব্যবস্থা করে যান।

মিস্টার উইলিয়ামস মারা যাওয়ার পর তার পরিবার ও সহকর্মীরা জানতে পারেন যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর আগে থেকেই জানতেন আর সেজন্য পার্কর্টি করার জন্য তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন। কাজের মধ্যে দিয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে যান সবার জন্য।

ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন নোবেলজয়ী লেখক কাজুও ইশিগুরো। পরিচালনা করেছেন অলিভার হারমান।

মিস্টার উইলিয়ামসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিল নিঘি। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *