সুধীর মিশরা: নতুন ধারার নির্মাতা

যার মাথায় সিনেমার পোকা ঢুকিয়েছিলেন ম্যাথমেটেশিয়ান বাবা। পেশায় ম্যাথমেটেশিয়ান হলেও তিনি ছিলেন লাখনৌ ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাবার সাথে ঘুরে ঘুরে সিনেমা দেখার শুরু তার সেই ছোটবেলায়।

এরপর যৌবনে এসে ধরলেন বাদল সরকারের হাত। তার সাথে থিয়েটার করলেন বছর দেড়েক। বুঝে গেলেন থিয়েটার নয় তার প্রেম আসলে সিনেমার সাথে। তাই চলে গেলেন মুম্বাইয়ে। তার আগে অবশ্য কিছুদিন পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ছিলেন ছোট ভাইয়ের হোস্টেলে।

১৯৮০ এর দশকের শেষদিকে বেশ কয়েকজন পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কুন্দন শাহ, সায়ীদ আখতার মির্জা, বিধু বিনোদ চোপড়া।

১৯৮৭ সালে প্রথম ছবি নির্মাণ করেন, ‘ইয়ে ও মনজিল তো নেহি’। এই ছবিটি নির্মিত হয়েছিল মাত্র ৮ লাখ রুপিতে। প্রথম ছবির জন্যই পান সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এরপর একে একে নির্মাণ করেন ধারাভি (১৯৯১), ম্যায় জিন্দা হু (১৯৮৮), ইস রাত কি সুবাহ নেহি (১৯৯৬), হাজারো খোয়াইশি অ্যায়সি (২০০৩), খোয়া খোয়া চান্দ (২০০৭), ইয়ে শালি জিন্দেগি (২০১১), ইনকার (২০১৩)।

ওয়েবের জন্য নির্মাণ করেছেন সিরিয়াস মেন এবং হোস্টেজ এর মত সিরিজ।

সুধীর মিশরার সবচেয়ে আলোচিত ছবিগুলোর মধ্যে একটি হাজারো খোয়াইশি অ্যায়সি। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন শাইনি আহুজা এবং চিত্রাঙ্গদা সিং। নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজ করার বিষয়ে সবসময় আগ্রহী সুধীর। তিনি মনে করেন নতুনদের নিয়ে অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্ট করা যায়।

নির্মাণের ক্ষেত্রে সুধীর মিশরা বরাবরই ব্যতিক্রম। একই ধরণের কাজ তিনি সাধারণত করেন না তাই ইয়ে ও মনজিল তো নেহি এর মত চলচ্চিত্র যেমন নির্মাণ করেছেন তেমনই নির্মাণ করেছেন সিরিয়াস মেন এর মত সিরিজ। সব সময় সমসাময়িক থাকার চেষ্টা করেন তাই বারবার নতুন কিছু নিয়ে আসতে চান।

বলিউডের যে কয়েকজন পরিচালক নতুন ধরণের কাজ করেছেন বা বলিউডের ছবির ভাষা বদলানোর চেষ্টা করে সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে সুধীর মিশরা অন্যতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *