গুরু থেকে বিগবুল: ভিন্ন চরিত্রে একই অভিষেক

গত ৮ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি+হটস্টার-এ মুক্তি পেয়েছে অভিষেক বচ্চন অভিনীত ‘দ্য বিগ বুল’ ছবিটি। করোনার কারণে হলে মুক্তি না দিয়ে ছবিটি অনলাইনে মুক্তি দেয়া হয়।

এর মাধ্যমে বহুদিন পর নামভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেল অভিষেক বচ্চনকে। প্রথমে চরিত্রটি করার কথা ছিল অজয় দেবগানের। পরবর্তীতে তিনি ছবিটির সাথে প্রোডিউসার হিসেবে যুক্ত হন এবং অভিষেক বচ্চনকে অভিনেতা হিসেবে নির্বাচিত করেন।

অভিষেক বচ্চন গুনী অভিনেতা সন্দেহ নেই। তবে হারশাদ মেহতার কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘দ্য বিগ বুল’ ছবিতে যেন পাওয়া গেল অভিষেকরই ছায়াকে।

২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল অভিষেক অভিনীত ‘গুরু’ ছবিটি। এই ছবিতে গুরুকান্ত দেশাই এর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। বিপরীতে ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মনি রত্নম পরিচালিত ছবিটি শিল্পপতি ধীরুবাই আম্বানি এর জীবনী অবলম্বনে তৈরি বলে ধারণা করা হয়।

‘গুরু’ এবং ‘দ্য বিগ বুল’ দুটো ছবিতেই উচ্চাভিলাষী দুই ব্যবসায়ীর গল্প বলা হয়েছে যারা বলতে গেলে শুন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। আর এই কোটিপতি হওয়ার পথে তারা নানা রকম অনিয়ম করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। জেদি এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দুজনেরই। দুজনেই সমান আলোচিত এবং সমালোচিত। এইসব কারণে দুটো ছবিতেই অভিষেকের চরিত্র প্রায় একইরকম হয়ে গেছে। গুরুকান্ত দেশাই এর কাছে বড় ম্লান হয়ে গেছেন হেমন্ত শাহ।

যেহেতু গুরুকান্ত দেশাই এর মত চরিত্র আগেই করেছেন অভিষেক তাই চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তার আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে হারশাদ মেহতার জীবনী নিয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ এর ব্যাপক সফলতার পর একই কাহিনীতে আগে করা একইরকম চরিত্রে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত অভিষেকের জন্য আত্মঘাতীই হয়েছে।

তাই ঘুরেফিরে ছবি দুটি ভিন্ন হলেও দর্শকের কাছে হাজির হয়েছেন একই অভিষেক। তাঁর অভিনয়ে এমন কোন জোর ছিলো না যা থেকে বিগ বুলকে আলাদা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *