লাভ হোস্টেল: সিনেমাটোগ্রাফি আর ববির অভিনয় ছাড়া বাকি সব ফ্লপ
ছবির প্রথম দৃশ্যটা ছিল দূর্দান্ত! কাহিনীর শুরুটাও ভালো কিন্তু কিছুক্ষণ পরে গল্প এবং চিত্রনাট্যের দূর্বলতা প্রকাশ পেতে থাকলো। গল্প এবং চিত্রনাট্য খুবই দূর্বল। পরিচালক মনে হয় কুয়েন্তিন তারান্তিনো দ্বারা মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবিত। তারান্তিনো তার সবগুলা ছবি মিলিয়ে যত খুন দেখিয়েছেন লাভ হোস্টেল-এ তার চেয়ে বেশি খুন দেখানো হয়েছে।
কথায় কথায় খুন করতে করতে ববি দেওল যেন হয়ে উঠেছেন কিলিং মেশিন! অথচ ছবির মূল বিষয় ছিল অনার কিলিং। শুরুতে সেই বিষয়ে থাকলেও এটাকে অ্যাকশন থ্রিলারের ছোঁয়া দিতে গিয়ে গল্পের বারোটা বাজানো হয়েছে।
ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সানিয়া মালহোত্রার দ্রুতই অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ওয়েবে একের পর এক রাবিশ ছবিতে অভিনয়ে করে নিজের ক্যারিয়ারকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছেন তিনি। ভিক্রান্ত মেসি অভিনেতা হিসেবে ভালো হলেও এই ছবির গল্প তার অনুকূলে ছিল না। খুব বেশি কিছু করে দেখানোর সুযোগ তিনি পাননি।
ভালোর মধ্যে আছে ববি দেওলের লুক, অভিনয় আর সিনেমাটোগ্রাফি। এ দুটো জিনিস ছাড়া বাকি সব বৃথা চেষ্টা।