বরবাদ: বাংলা সিনেমার নতুন রুপ

বরবাদ এর মাধ্যমে শাকিব খান নিজেকে অন্য স্তরে নিয়ে গেলেন। তুফান দেখে মনে হয়েছিল এটাই সর্বোচ্চ। সেই ইমেজকে ভেঙেচুরে নতুন ইমেজ গড়লেন। নিজেকে নতুন করে উপস্থাপনের যে চেষ্টা তার মধ্যে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

তার উপর ডিরেক্টর-প্রোডিউসারের ডেব্যু ছবি। সবদিক থেকে চমক দেখিয়েছেন শাকিব। নিজের চেনা এফডিসির ঘরানা থেকে বেরিয়ে নতুন জগৎ তৈরি করেছেন, যা তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ডিরেক্টর মেহেদী হাসান হৃদয় আগে নাটক বানালেও এটা তার প্রথম ছবি। সবকিছু ভেঙেচুরে বরবাদ করে দিয়েছেন তিনি। গত ১৫ বছরে এই মানের এবং আয়োজনের বাংলা ছবি ঢাকা-কলকাতা কোথাও হয়নি।

ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং গান অসাধারণ হয়েছে। ছবির গল্প অনুযায়ী গানের প্লেসমেন্ট দুর্দান্ত। বিশেষ করে মহামায়া এবং নিশ্বাস গান দুটির প্লেসমেন্ট ছবির মুডের সাথে দর্শককে কানেক্ট করেছে। মহামায়াতে নোবেল এবং নিশ্বাসে জিএম আশরাফ সেরা কাজ করেছেন।

আর্ট, কস্টিউম, কাস্টিং, অ্যাকশন প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট আলাদা আলাদা করে সেরা কাজ করেছে। প্রোডাকশন ডিজাইনে শিল্প এবং পেশাদারিত্বের ছাপ স্পষ্ট।

শাকিব খানের পাশে ইধিকা হারিয়ে যাননি বরং নিজের স্পেস তৈরি করতে পেরেছেন এবং নিজেকে এই ছবিতে অপরিহার্য করে তুলেছেন। মিশা সওদাগর পাকা অভিনেতা, চরিত্র অনুযায়ী পারফর্ম করেছেন। যীশু সেনগুপ্তও ভালো।

ছবিতে অ্যানিমেল ছবির কিছু ইন্সপায়েরেশন আছে তবে সেটা শুধু স্টাইলিং আর সেট নির্মাণে। গল্পে কোনো প্রভাব নেই।

গল্প এবং স্ক্রিপ্ট আহামরি কিছু লাগেনি তবে ভালো। বিশেষ করে যেখানে এসে ইন্টারভেল দিয়েছে তা দর্শককে আটকে রেখেছে।

সব মিলিয়ে বরবাদ অন্যতম সেরা ছবি। এই ছবি হলে না দেখলে ছবিটা উপভোগ করা যাবে না। মোবাইলে বা টিভিতে এই ছবি দেখে মজা নেই। এটা সত্যিকারের বড় পর্দার ছবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *