ওয়ানটুয়েন্টিসেভেন আওয়ার্স (২০১০)
মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন বলেছিলেন, ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দেন ফিকশন। আর সে কারণেই সত্যি ঘটনা অবলম্বনে এত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।
ওয়ানটুয়েন্টিসেভেন আওয়ার্স ছবিটি নির্মিত হয়েছে অ্যারন রালস্টোনের লেখা ‘বিটুইন আ রক অ্যান্ড আ হার্ড প্লেস’ বই অবলম্বনে। রালস্টোন একজন অ্যাডভেঞ্চারিস্ট।
এরকমই এক অ্যাডভেঞ্চারে একবার একা বেরিয়ে পড়েছিলেন ২০০৩ সালে ব্লু জন ক্যানিয়নে। সেখানেই একটি পাথরে আটকে যার তার হাত। ১২৭ ঘণ্টা অর্থ্যাৎ ৫ দিন সেখানে আটকে ছিলেন তিনি। আর এই সময়ে তার কাছে ছিল মাত্র ৩৫০ এমএল পানি এবং সামান্য কিছু খাদ্য। এই দিয়ে তিনি বেঁচেছিলেন।
সেই ক্যানিয়নে তার ডাক শোনার মত কেউ ছিল না। এমনকি তিনি আসার আগে কাউকে জানিয়েও আসেননি তিনি কোথায় যাচ্ছেন। রালস্টোন মুক্তি পেয়েছিলেন তবে কীভাবে পেলেন সেটাই দেখার বিষয়।
ড্যানি বয়েল একজন যাদুকর। যিনি রালস্টোনের এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা একদম জীবন্ত করে তুলেছেন সিনেমায়।
ছবিটি দেখুন, প্রেডিক্টেবল স্টোরি কিন্তু তাও আপনি ঠাঁয় বসে থাকবেন স্ক্রিনের সামনে, কি ঘটে, কীভাবে ঘটে দেখার জন্য। নার্ভ দূর্বল হলে শেষ পর্যন্ত না দেখাই ভালো।
অনেকদিন মাথার মধ্যে থেকে যাবে ব্যপারটা।