কারাগার (২০২২)
গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং। এরকম গল্প ভাবার জন্য গল্পকার চিত্রনাট্যকার নিয়ামতউল্লাহ মাসুমকে ধন্যবাদ। চিত্রনাট্য কিছুটা ধীরগতির হলেও উপভোগ্য।
প্রথম সিজন দেখে মনে হয়েছে কেবল গল্পের এক তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে। মূলত গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড এস্টাবলিশ করা হয়েছে। সব জটিলতা দ্বিতীয় সিজনে খুলতে শুরু করবে হয়তো।
আফজাল হোসেন বা চঞ্চল চৌধুরী কেউই তাদের চরিত্রে বেশি কিছু করতে পারেননি, হয়তো তাদের খেলা পরবর্তীতে দেখা যাবে।
জিসান অল্প সময় পেলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পার্থর ক্ষেত্রেও তাই, বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পেয়েছে সে। জিসান এবং পার্থ এই সময়কার দুজন ভালো অভিনেতা। জিসান বেশ কিছু ভালো কাজ করলেও পার্থকে এখনো সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি পরিচালকরা। কারাগার থেকে পার্থর যাত্রাটা শুরু হলো মনে হয়।
সিনেমাটোগ্রাফিতে বরকত হোসেইন পলাশ তার দক্ষতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।
যারা এখনো দেখেননি তারা অস্থির না হয়ে সেকেন্ড সিজনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। সিজন ওয়ান শেষ করার পর কিছুটা অতৃপ্তি আসতে পারে এই ভেবে যে, গল্প তো কেবলমাত্র শুরু হলো।