কেমন হলো হাওয়া?
হাওয়া সিনেমার মাধ্যমে হলে গিয়ে ছবি দেখার উন্মাদনা ফিরে এসেছে। শুরুটা হয়েছিল অবশ্য পরাণ দিয়ে। পরাণের পর হাওয়ায় হাওয়া লেগেছে। সিনেমাপ্রেমী দর্শকের লাইন প্রেক্ষাগৃহের বাইরে।
হাওয়া নিয়ে প্রথমেই ভালো কথাগুলো বলে নেয়া যাক। টেকনিক্যালি এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ পানির উপর শুটিং করা খুবই বিপদজনক এবং চ্যালেঞ্জিং, সেখানে গভীর সমুদ্রে একটা মাছ ধরার নৌকাকে কেন্দ্র করে দুই ঘণ্টার ছবি নির্মাণ আসলেই সাসহসের কাজ।
টেকনিক্যাল দিক থেকে খুব ভালো করেছে হাওয়া। বাংলাদেশি সিনেমার জন্য একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে ছবিটি। সিনেমাটোগ্রাফার কামরুল হাসান খসরু খুব উঁচুতে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফিকে।
এছাড়াও কারিগরি অন্যান্য দিক যেমন: এডিটিং, সাউন্ড, মিউজিক, কস্টিউম, আর্ট ডিরেকশন সব হয়েছে নিখুঁত।
তবে কমতিও আছে কিছু। চিত্রনাট্যে দুর্বলতা রয়েছে। সে কারণে ছবির প্রথম হাফ কিছুটা ধীরগতির। সেই তুলনায় দ্বিতীয় হাফ দ্রুতগতির। এই দুই হাফের মধ্যে গতির সামঞ্জস্য দরকার ছিল। গল্পটাকে নৌকায় আটকে না রেখে কয়েকটি চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড যদি ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হতো তাহলে কিছুটা পরিবর্তন আসতো। সমুদ্র দেখতে দেখতে একসময় একঘেয়ে লেগেছে।
অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী সেরা। চান মাঝির চরিত্রটি তিনি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাগু চরিত্রে নাসিরউদ্দিন খান খুব ভালো করেছেন। একের পর এক কাজ দিয়ে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। গুলতি চরিত্রে নাজিফা তুষিও বেশ ভালো করেছেন। বাকিরা যে যার জায়গায় ঠিকঠাক।