জন গন মান (২০২২)

এই ছবিটা যে কোন সংবেদনশীল মানুষকে ভাবাবে। অনেকগুলো প্রশ্ন করেছে ছবিটি, যেগুলো আমরা সচরাচর এড়িয়ে যাই। ধর্ম, জাত বৈষম্য, রাজনীতি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মিডিয়া ট্রায়াল সব নিয়ে কথা বলা হয়েছে ছবিটিতে এবং যুক্তিগুলো অকাট্য।

ছবিটির স্ক্রিপ্ট এবং ডায়লগ হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। স্ক্রিপ্টটা বেশ কায়দা করে সাজানো। বিরতির আগ পর্ন্ত গল্পটা একদিকে যায়, বিরতির পর পুরো ইউটার্ন নিয়ে গল্পটা চলে যায় আরেক দিকে। একই ঘটনা কিন্তু ভিন্ন দুটি দিক থেকে দেখা। ফার্স্ট হাফে যাকে ফেরেশতা মনে হয় সেকেন্ড হাফে তাকেই মনে হবে শয়তান। স্ক্রিপ্ট এবং ডায়লগের জন্য শারিস মোহাম্মদ অবশ্যই দর্শকদের বাহবা পাবেন।

সেকেন্ড হাফ পুরোটাই কোর্টরুম ড্রামা। আইনজীবি অরবিন্দের ভূমিকায় পৃথ্বীরাজ ছিলেন যথেষ্ট বোল্ড। ছবির প্রায় সবকটি চরিত্রেই অভিনেতারা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। যে কারণে গল্পটা পোক্ত হয়েছে। যেন মনে হচ্ছে চোখের সামনে সব ঘটে যাচ্ছে। তবে অরবিন্দের ক্যারেক্টারের ব্যাকগ্রাউন্ডটা দেখানো হয়েছে খুব দ্রুত, এখানে আরেকটু সময় নেয়া দরকার ছিল।

আরেকটি আলোচিত ছবি জয় ভিম এর সাথে সাবজেক্টের দিক থেকে কিছুটা মিল আছে। তবে দুটি ছবিই আমাদের নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি করে দেয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ভাবনা বদলের যাত্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *