লাল রাং (২০১৬)

সৈয়দ আহমদ আফজালের নাম শুনেছেন?

বলিউডে এখন প্রায়ই দেখা যায় এমন সব ডিরেক্টর যাদের নাম কেউ জানে না কিন্তু দূর্দান্ত সব সিনেমা বানিয়ে ফেলেছে। আফজালও তেমনই। ২০১৬ সালের এপ্রিলে মুক্তি পাওয়া ‘লাল রাং’ ছবির পরিচালক তিনি।

‘লাল রাং’ ছবিতে অভিনেতা রনদীপ হুডার অভিনয় দেখার জন্যই আড়াই ঘণ্টা বসে থাকা যায়। আর ছবির গল্প এবং বাকিদের অভিনয়ও দূর্দান্ত। পার্শ্ব চরিত্রে অক্ষয় ওবেরয় খুব ভালো করেছেন। ‘শনি বাবা’ চরিত্রে অভিনেতা কুমার সৌরভের অভিনয় চোখে লেগে থাকবে। আর রয়েছে ‘ইয়ামাহা আরএক্স হান্ড্রেড’ মোটরসাইকেলের ক্রেজ!

২০০২ সালের একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে সৈয়দ আহমাদ আফজাল এবং পঙ্কজ মাত্তা। ল্যাবরেটরি সায়েন্সে ডিপ্লোমা পড়া ছাত্র শংকর। পড়ালেখার বাইরে ‘রক্ত ব্যবসা’ করে সে। অর্থ্যাৎ বিভিন্ন জায়গা বা ডোনারদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরি, হাসপাতালে সরবরাহ করে। বিশেষ করে যখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয় তখন বিভিন্ন দুর্লভ ব্লাড গ্রুপের রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সময়ে ব্যবসা করে টাকা হাতিয়ে নেয় শংকর। তার সাথে যোগ দেয় ইনস্টিটিউটে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র রাজেশ।

ব্যবসা ভালোই চলছিলো তাদের, আয় রোজগারও ভালো কিন্তু লোভে পড়ে আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে রাজেশ আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু রাজেশের পরিণতি ভালো ছিলো না আর তার জন্য ভুগতে হয় সবাইকে। পুলিশও এই ‘ব্লাড র‌্যাকেট’ নিয়ে ততদিনে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এক সময় ভেস্তে যায় সবকিছু। গ্ল্যামার, আইটেম সংয়ের ফর্মুলা ছবির বাইরে ইনডিপেনডেন্ট, রিয়েল হিন্দি সিনেমা যারা দেখতে চান তাদের ভালো লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *