সুপারবয়েজ অব মালেগাও (২০২৫)
মুম্বাই থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরের শহর মালেগাও। এখানে বসে ১৯৯৭ সালে একদল সিনেমাপাগল তরুন স্বপ্ন দেখে সিনেমা নির্মাণের। কিন্তু তাদের সিনেমা বানানোর টাকা দেবে কে? তাদের কাছেও টাকা নেই। সবাই নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের। পারিবারিক ব্যবসা নয়তো কারখানায় মজদুরি করে দিন চলে। তাই বলে স্বপ্ন থেমে যাবে? না। সেই কয়েকজন তরুণ নিজেদের সব টাকা এক করে নিজেরাই খাটাখাটনি করে সিনেমা বানিয়ে ফেলে।
ব্যবসাসফল হিন্দি ছবি শোলের প্যারোডি মালেগাও কা শোলে। যেখানে অভিনয় করে মালেগাও এর মানুষেরাই। নিজেদের শহরে শুটিং, দর্শকও মালেগাও এর লোকজন। সেই ছোট্ট শহরে দারুণ সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। মাত্র ৩০ হাজার রুপি খরচ করে বানানো ছবিটি টিকেট কেটে স্থানীয় দর্শকরা দেখার পর আয় করে প্রায় ৩ লাখ রুপি।
সেই ছবি নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৮ সালে নির্মাতা ফাইজা আহমাদ খান নির্মাণ করেন ডকুমেন্টারি সুপারমেন অব মালেগাও। আর তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক-নির্মাতা রিমা কাগতি নির্মাণ করেছেন সুপারবয়েজ অব মালেগাও।
এই ছবিতে নিজের স্বপ্নপূরণের কথা বলা হয়েছে। দেখানো হয়েছে, মানুষ চাইলে তার স্বপ্নপূরণ অসম্ভব নয়। বলিউডের ছবি দেখে একটা হ্যান্ডিক্যাম নিয়ে যে নাসির শেখ সিনেমা বানাতে নেমে গিয়েছিলো মালেগাওতে। আজকে সেই নাসির শেখকে নিয়েই ছবি বানাচ্ছে বলিউড। এই যাত্রার সাক্ষী হতে পারবেন দর্শকরা সুপারবয়েজ অব মালেগাও দেখার মাধ্যমে।